ওমিক্রনে প্রথম মৃত্যু ভারতে

ভারতে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন সংক্রমণে প্রথম মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্রের ওই বাসিন্দা ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। টাইমস অব ইন্ডিয়াসহ দেশটির বেশ কয়েকটি বাংলা গণমাধ্যমে এই খবর প্রকাশিত হয়েছে।

খবরে বলা হয়, ৫২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি সম্প্রতি নাইজেরিয়া থেকে দেশে ফেরেন। গত ১৩ বছর ধরে তিনি ডায়াবেটিসে ভুগছিলেন। দেশে ফেরার পর অসুস্থ হলে মহারাষ্ট্রের পিমরি চিনজোআর জেলার এই বাসিন্দাকে স্থানীয় যশবন্তরাও চ্যাবন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২৮ ডিসেম্বর মৃত্যু হয় তার।

হৃদরোগে তার মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হলেও পরে মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্য দপ্তর জানান ওমিক্রনে আক্রান্ত ছিলেন ওই ব্যক্তি। জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের রিপোর্টে তার ওমিক্রন ধরা পড়ে বলে বলা হয়।

চিকিৎসকদের মতে, ওমিক্রনের ক্ষেত্রে গোটা বিশ্বেই খুবই সামান্য উপসর্গ দেখা যায়। এমনকী, টিকার দুটি ডোজ নেওয়া থাকলে মৃত্যুরও সম্ভাবনা খুবই কম। তবে আক্রান্ত ব্যক্তির যদি কো-মর্ডিবিটি বা অন্য কোনও গুরুতর অসুখ থাকে, সেক্ষেত্রে কিন্তু ওমিক্রন প্রাণঘাতী হতে পারে। মহারাষ্ট্রে যিনি মারা গিয়েছেন, তার ক্ষেত্রেও হয়তো তেমনটা হয়েছে।

২০১৯ সালের ডিসেম্বর চীনের উহান শহরে প্রথম যে করোনাভাইরাস ছড়িয়েছিল, সেই ভাইরাস এখন আর নেই। ডেল্টা আর বেটা ভ্যারিয়েন্ট তাকে হটিয়ে দেয়। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে মিউটেশন ছিল ১০টি আর বেটায় ৬টি।

এর মধ্যে গত নভেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম ওমিক্রন চিহ্নিত হয়। ডেল্টার চেয়েও বেশি সংক্রামক এই ভ্যারিয়েন্টটি কয়েক দিনের মধ্যেই বিশ্বের শতাধিক দেশে ছড়িয়ে পড়ে।

ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়ে যুক্তরাজ্য, ‍যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও অস্ট্রেলিয়াসহ বেশ কয়েকটি দেশে মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হলো ভারতের নাম।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার দেশটিতে নতুন করে আরও ২৫৮ জনের শরীরে ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে। পাঞ্জাব ও বিহার রাজ্যেও ওমিক্রনে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশটির ২৪টি রাজ্যে ওমিক্রন শনাক্ত হলো।

দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১১৯৫ জন ওমিক্রন রোগী শনাক্ত হয়েছে। মহারাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি ৪৫০ জনের ওমিক্রন ধরা পড়েছে। তার মধ্যে গতকালই এই রাজ্যে ১৯৮ জনের দেহে ওমিক্রন শনাক্ত হয়। এছাড়া গতকাল দিল্লিতে ২৫ জন, হারিয়ানায় ২৩ জন, তেলেঙ্গুনা, উড়িশ্যা ও কলকাতায় পাঁচজন ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন।